The Beginning of Everything - The Big Bang সব কিছুর শুরু

The Beginning of Everything - The Big Bang সব কিছুর শুরু

আমরা মানুষ, তথ্য ভাগ করে বহু প্রজন্ম ধরে, ধীরে ধীরে নির্মাণ করেছি একটি ভাল, শক্তিশালী, প্রমাণ-ভিত্তিক গল্প। যা ১০০ বছর আগের নয়। ১০,০০০ বছর আগের নয়, ১৩৮০ কোটি বছর আগের ঠিক সেই মুহূর্তের যখন আমাদের এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল।


চলুন শুরু করি একদম শুরু থেকে, বিগ ব্যাং। কিন্তু বিগ ব্যাং থেকেই কেন শুরু এর আগে কেন নয়?   ওয়েল তাত্ত্বিক পদার্থবিদরা মনে করে স্থান এবং সময় আলাদা বিষয় না। তারা একি বিষয়ের ২টি ভিন্ন অভিব্যক্তি। যাকে বলে Spacetime. এবং Spacetime তৈরি এই বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে। সুতরাং বিগ ব্যাং এর আগে বলতে কিছু নেই। ইউনিভারসের মধ্যে বিগ ব্যাং হয় নি। বিগ ব্যাং ইউনিভারস তৈরি করেছে… Mind Blowing right? Let’s begin


 

অ্যাডউইন হাবল জ্যোতির্বিদ্যায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম তৈরি হওয়া প্রচুর নতুন প্রমাণ নিয়ে মহাবিশ্ব সম্পর্কে খুব সিম্পল একটি ধারণা নিয়ে এসেছিল এবং ধারণাটি হচ্ছে ইউনিভার্স প্রসারিত হচ্ছে। আপনি যখন এই ধারণা সম্পর্কে চিন্তা শুরু করেন তখন সত্যিই এটা mind Blowing. উদাহরণস্বরূপ, এর অর্থ দাড়ায় মহাবিশ্বে সবকিছু প্রতিটি ছায়াপথ, প্রতিটি তারা, প্রতিটি গ্রহ, আপনার দেহের প্রতিটি পরমাণু - একটি ছোট্ট জায়গায় একত্রে ছিল। এতটাই ছোট যে একটি কাগজে যতই ছোট একটা ডট আঁকেন না কেন তার থেকেও ছোট হবে সেটা। পরমাণুর চেয়ে ছোট।

 

এমনকি হাবালের সময়েও অনেক বিজ্ঞানী এটি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পরেছিল। তবে কিছু বিজ্ঞানী দেখল প্রমাণগুলো এতোটাই পরিপূর্ণ যে তারা সন্ধান শুরু করে খুব যত্ন সহকারে, ধীরে ধীরে, যুক্তি ব্যবহার করে, প্রমাণাদি উপলব্ধ করে, এবং কখনও কখনও নতুন প্রমাণ পেয়ে, তারা বের করতে শুরু করে কি ঘটে থাকতে পারে আমাদের ইউনিভার্সে।

হাবল ইতোমধ্যে বের করে একটি আইডিয়া যে আপনি যদি গণনা করতে পারেন মহাবিশ্ব কি গতিতে সম্প্রসারণ হচ্ছে। তাহলে এটাও গণনা করা সম্ভব কখন এটা শুরু হয়েছিল। একটু ভেবে দেখুন, অসাধারণ একটি আইডিয়া। এর মানে সে বলতে চাচ্ছে আপনি গণনা করে মহাবিশ্বের জন্মদিন বের করতে পারবেন।


 

সত্যই অবাক করা বিষয়। কিছু বিজ্ঞানী তারপরে ভাবতে শুরু করলেনআমরা কি বের করতে পারি বিগ ব্যাং এর সময় জিনিসগুলো কি রকম ছিল? এবং তারা খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারেন যদি সমস্ত energy বা শক্তি এবং মহাবিশ্বের সমস্ত mass বা ভর যদি একটি ছোট জায়গায় থেকে থাকে তবে তা অবিশ্বাস্য রকম গরম ছিল। কয়েক বিলিয়ন ডিগ্রি গরম।  এবং খুব ঘন হতে হয়েছিল। এবং এটিকে প্রসারিত হতে হয়েছিল এত দ্রুত যে বিস্ফোরণের মতো হবে কিছুটা।


 

এখন এই চিত্র দেখে ইংরেজ জ্যোতির্বিদ ফ্রেড হোয়েল এটি বর্ণনা করার জন্য, মজা করে বলেন "Big Bang" theory তিনি সবসময় এই থিয়োরি নিয়ে সংশয়ী ছিলেন।  তো তিনি ব্যঙ্গাত্মক ভাবে বললেও এই নামটি আটকে গেল।

তারপরে কিছু বিজ্ঞানী খুঁজে বের করার চেষ্টা শুরু করলো Matter আর Energy সেই extreme পরিস্থিতিতে কি করছিলো? কারো কারো সুবিধার্থে বলে নিচ্ছি Matter এর বাংলা হচ্ছে পদার্থ আর Energy এর বাংলা হচ্ছে শক্তি। তখন তারা অনেক সাহায্য পেয়েছিল কারণ তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রচুর লোক পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে কাজ করছিল। এবং পারমাণবিক অস্ত্রই হচ্ছে extreme conditions নিয়ে।

 


আইনস্টাইন ইতিমধ্যে দেখিয়েছিলেন যে প্রচণ্ড উত্তাপ এবং তাপমাত্রার মধ্যে matter আর Energy বিনিময়যোগ্য। তারা একটি অপরটি হতে পারে। সুতরাং এটি প্রথম জিনিস তারা জানতে পেরেছিল।  

একদম শুরুতে মহাবিশ্ব ছিল matter আর Energy এর মহাবিশ্ব।  তারা এটাও বুঝতে পেরেছিল যে মহাবিশ্ব যতই প্রসারিত হচ্ছিলো ততই এটি ঠাণ্ডা হচ্ছিলো। এবং তারা জানত matter and energy বিভিন্ন তাপমাত্রায় এবং চাপে বিভিন্ন আচরণ করে। আস্তে আস্তে তারা বের করতে লাগল সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রা এবং চাপ বিগ ব্যাং এর প্রথম কয়েক মুহূর্তের এবং এই ভাবে তারা নির্মাণ করতে পারলো  একটি ভাল, যৌক্তিক, প্রমাণ ভিত্তিক গল্প যে কি ঘটেছে বিগ ব্যাংয়ের সময়। আমরা হয়তো বিগ ব্যাং এর exact মুহূর্ত ব্যাখ্যা করতে পারি না। আগে কি হয়েছিল, বা কেন বিগ ব্যাং ঘটেছিল। কসমোলজিস্টদের প্রচুর ধারণা রয়েছে এই সম্পর্কে তবে, সত্যই, সত্যিকারের প্রমাণ নেই। বিগ ব্যাং মহাজাগতিক গল্প, যে কোনও প্রথাগত সৃষ্টির গল্পের চেয়ে ভাল আর কিছু করতে পারে না এটা ব্যাখ্যা করতে যে বিগ ব্যাং ঘটেছে বা ঠিক ওই মুহূর্তে কি ঘটেছে কেন ঘটেছে। কিন্তু এর পরের ন্যানো সেকেন্ড থেকে তারা খুব ভাল করে বলতে পারে প্রমাণ ভিত্তিক, যৌক্তিক গল্প।

আমরা বিশ্বাস করি যে সবকিছু হাজির হয়েছে বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে, এমনকি সময় এবং স্থানও। হ্যাঁ সত্যি সময় স্থান বিগ ব্যাং এর আগে ছিল না। তো অন্যভাবে বলা যায়। বিগ ব্যাং এর আগে সময় স্থানই যদি না থাকে তাহলে বিগ ব্যাং এর আগে বলেও কিছু নেই।

তো প্রথমে জিনিসগুলি অবিশ্বাস্য ভাবে দ্রুত ঘটেছে। আসলে আমরা আমাদের গল্প শুরু করি, এক সেকেন্ডের বিলিয়ন বিলিয়ন ভগ্নাংশ পড়ে যখন ইউনিভার্স প্রথম প্রদর্শিত হয়। সব কিছুই সারণীর বাইরে। ইউনিভার্স তখন মিলিওন না বিলিয়ন না গাজিলিয়ন ডিগ্রি গরম। এটি অবিশ্বাস্য ভাবে ঘন, এবং যত পরিমাণ আপনি কল্পনা করতে পারেন তার থেকেও বেশি দ্রুত প্রসারিত হচ্ছিলো। তবে এটি প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে শীতল হয় এবং যতই শীতল হচ্ছিলো শক্তির স্বতন্ত্র রূপ উপস্থিত হতে শুরু করে।

শক্তির প্রধান চারটি রূপ আমরা এই চারটিকে বলি Fundamental Foreces বাংলায় মৌলিক শক্তি।


 

প্রথমটি gravity মাধ্যাকর্ষণ; মনে আছে নিশ্চয়ই এটাই সেই শক্তি যা নিউটন সনাক্ত করেছিল। এটি মহাবিশ্ব সৃষ্টির এক সেকেন্ডের বিলিয়ন বিলিয়ন ভগ্নাংশ পড়ে তৈরি হয়।

তারপরে উপস্থিত হয় electromagnetism তড়িৎ চৌম্বকীয় শক্তি যা আসে Positive and negative চার্জে। এবং অবশ্যই এটি শক্তি। আমরা সবাই এর সাথে পরিচিত: এটা এক কথায় বিদ্যুৎ।


 

তারপরে আমরা পাই তৃতীয় চতুর্থ শক্তি। শক্তিশালী এবং দুর্বল পারমাণবিক শক্তি; এগুলি ক্ষুদ্র দূরত্বে কাজ করে। তবে তারা নিউক্লিয়াসের কেন্দ্রটিকে পরমাণুর সাথে এক সাথে বেঁধে রাখে।

এখন এর মধ্যে কিছু শক্তি জমাট হয়ে গঠন করে প্রথম Matter বা পদার্থ। মনে রাখবেন, শক্তিই জিনিসগুলি ঘটায়। Matter বা পদার্থ হচ্ছে মহাবিশ্বের জড় বস্তু। এটিই নির্মাণের বেসিক উপাদান। পদার্থের প্রথম রূপগুলি ছিল কোয়ার্ক। কিন্তু কোয়ার্কস তাত্ক্ষণিকভাবে ট্রিপলেটস মিলিত হয়ে প্রোটন গঠন করে।

যার আছে পজিটিভ চার্জ, বৈদ্যুতিক চার্জ এবং নিউট্রন, যার কোন চার্জ নাই। প্রোটন এবং নিউট্রন সমস্ত পরমাণুর নিউক্লিয়াকে তৈরি করে।  খুব দ্রুত ইলেকট্রন হাজির, যা অনেক হালকা, প্রোটন এবং নিউট্রনের চেয়ে এবং তাদের একটি নেগেটিভ চার্জ আছে। প্রোটন এবং ইলেকট্রনের বিপরীতমুখী চার্জ থাকা সত্ত্বেও তারা একত্রিত হতে পারছিল না। কারণ তখন সেখানে অনেক কিছু হচ্ছে। অনেক বেশি শক্তি আছে।


 

সুতরাং ইউনিভার্স এমন এক অবস্থায় দাঁড়াল বিজ্ঞানীদের মতে যার নাম প্লাজমা ইউনিভার্স। এই সব কিছু ঘটেছে কিন্তু এক বা দুই সেকেন্ডের মধ্যে। মহাবিশ্ব তখনও দশ বিলিয়ন ডিগ্রি গরম এবং খুব ঘন।

সম্ভবত একটি পাথরের লক্ষ্য গুন ঘন। মনে করেন একটি পাথরের টুকরাকে যদি ধরি ইউনিভার্স হিসাবে তাহলে তার ওজন হবে ২৫ টা হাতির সমান।

আমরা যে ইউনিভার্সটি দেখলাম এটি একটি প্লাজমা ইউনিভার্স। সমস্ত পদার্থ প্লাজমা এর রূপে আছে। এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে চার্জ যুক্ত কণা প্রোটন এবং ইলেকট্রন এর আধিপত্য চারিদিকে। যেহেতু তাদের চার্জ আছে ইউনিভার্স যেন ভেলক্রো। এগুলোর মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় আলোর ফোটন আটকে যেতো। ফোটনের বৈদ্যুতিক চৌম্বকীয় শক্তি। সুতরাং সেইসময়ের ইউনিভার্স আজকের ইউনিভার্স থেকে খুব আলাদা ছিল। আলো এর মাধ্যমে অবাধে চলাচল করতে পারত না। এবং পরমাণু গঠন হতে পারত না। যা আমাদের মহাবিশ্বের মুল নির্মাণ সামগ্রী।

তারপরে বিগ ব্যাং এর প্রায় 380,000 বছর পরে প্লাজমা অধ্যায় শেষ হয়। এটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি মিনি থ্রেশহোল্ড। দুটি কারণে: প্রথমত, যখন প্লাজমা শেষ হয়েছিল পরমাণু গঠন হতে শুরু করলো। এবং দ্বিতীয়ত,প্লাজমা অধ্যায় এর শেষ. বিগ ব্যাং সৃষ্টিতত্বের জন্য একটি শক্তিশালী প্রমাণ নিয়ে আসলো। সেটা নিয়ে বিস্তারিত বলছি একটু পড়ে।

আসুন প্রথম কারণটি দিয়ে শুরু করি। কেন প্লাজমা শেষ হওয়া আমাদের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ। পরমাণুর সৃষ্টি। বিগ ব্যাং প্রায় 380,000 বছর পরে মহাবিশ্বের তাপমাত্রা কমতে কমতে প্রায় ,০০০ ডিগ্রিতে নেমে আসে। যা প্রায় একটি তুলনামূলক শীতল তারার পৃষ্ঠের সমান। সেই তাপমাত্রায় প্রোটন এবং ইলেকট্রনের চার্জ একসাথে আবদ্ধ হওয়ার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। তো suddenly প্লাজমার পরিবর্তে মহাবিশ্ব ভরে গেল বৈদ্যুতিক neutral পরমাণু দাড়া। কারণ এই দুটি চার্জ প্রতিটি পরমাণুর মধ্যে একে অপরকে cancel করে দেয়। এখন এক মুহূর্তের জন্য বিরতি দিয়ে একটু পরমাণু সম্পর্কে চিন্তা করি। প্রথম যে দুই ধরণের পরমাণু আমরা পাই তা হল হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম পরমাণু। হাইড্রোজেন পরমাণুর কেন্দ্রে রয়েছে একটি positive চার্জ যুক্ত প্রোটন এবং কখনও কখনও একটি নিউট্রন। হিলিয়াম পরমাণুর কেন্দ্রে আছে দুটি  positive চার্জ যুক্ত প্রোটন এবং সাধারণত দুটি নিউট্রন। এবং উভয় ধরণের পরমাণুর কেন্দ্রগুলির চারপাশে ঘুরছে ইলেকট্রন। সাধারণত যত ইলেকট্রন ততই প্রোটন আছে। যে কারণে চার্জ একে অন্যকে cancel করে দেয়। যেহেতু পরমাণু  neutral হঠাৎ করেই আলোর ফোটন মুক্ত হয়ে গেল। মহাবিশ্বের মধ্যে অবাধে চলাচল করতে শুরু করলো। ভেলক্রো চলে গেছে, তারা আর চার্জ যুক্ত কণার সাথে জড়িয়ে যায় না। এবং এটি আমাদের নিয়ে গেল দ্বিতীয় কারণে, কেন প্লাজমা শেষ হওয়া আমাদের গল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিগ ব্যাং সৃষ্টিতত্ত্ব সমর্থনে দুর্দান্ত প্রমাণ সরবরাহ করে।

1940 এর দশকে, কিছু বিজ্ঞানী ইতিমধ্যে খুঁজে বের করলো যে মহাবিশ্ব যখন ঠাণ্ডা হল তখন নিশ্চয়ই এমন একটা মুহূর্ত হবে যখন সমস্ত পদার্থ হটাত বৈদ্যুতিকভাবে neutral হয়ে যাবে এবং সেই সময়ে আলোর ফোটন মহাবিশ্বের মধ্যে অবাধে চলাচল করতে সক্ষম হবে। তারা বুঝতে পারেন এক ধরণের flash of energy হবে।  কেও বলল তাহলে এই flash of energy খুঁজে দেখা যাক। বিগ ব্যাং সৃষ্টিতত্ত্বের জন্য এটি একটি শক্তিশালী প্রমাণ হবে। তবে, আশ্চর্যের বিষয়, কেউ এটি সন্ধান করতে যায় নি। কারণ সম্ভবত বেশিরভাগ বিজ্ঞানী তখন এই আইডিয়াকে বেশ সন্দেহজনকভাবে দেখছিলেন।


 

তারপরে, 1960 এর দশকে, দুই জ্যোতির্বিদ - আরনো পেনজিয়াস এবং রবার্ট উইলসন, যারা খুব সংবেদনশীল রেডিও রিসিভার তৈরির চেষ্টা করছিল। কিন্তু তারা  তাদের রেডিও রিসিভারটি যেদিকেই তাক করছিলো সেদিক থেকেই হিস আওয়াজ আসছিল। এবং এই নয়েস সব দিক থেকেই একি রকমভাবে আসছিল। একটু চিন্তা করুন খুবী আজব ব্যাপার না। 

আপনি যদি মহাবিশ্বের কোন ছায়াপথের দিকে তাক করেন তাহলে energy detect করার কথা, কিন্তু খালি যায়গা থেকেও? প্রথমে তারা বুঝে উঠতে পারছিলো না।  তারপরে তারা এক, দুজন জ্যোতির্বিদের সাথে কথা বলল। অবশেষে একজন বলে উঠলো মনে হয় আপনারা পেয়ে গেছেন সেই Flash of Energy যা অনুমান করা হয়েছিল ১৯৪০ এর দশকে। এটি বিজ্ঞানের ইতিহাসে খুবী exciting একটি মুহূর্ত। ফাইনালি আমরা এই রেডিয়েশন দেখতে পারছি, স্টাডি করতে পারছি। আপনাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে অ্যানালগ টিভি রেডিও এর নয়েসের কথাএই নয়েসের প্রায় % হচ্ছে এই Cosmic background Radiation, সংক্ষেপে CBR. এই রেডিয়েশন ১৩. বিলিয়ন বছর ধরে প্রবাহিত হচ্ছে।  এটি অত্যন্ত শক্তিশালী একটি প্রমাণ। এটি 1940 এর দশকে করা একটি খুব অদ্ভুত পূর্বাভাসকে সমর্থন করেছে। এবং অন্য কোন তত্ত্ব ব্যাখ্যা করতে পারে না এই Energy কে বা এই Energy কোথা থেকে এসেছে। সেই মুহূর্তে বেশিরভাগ জ্যোতির্বিদ অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলো, হ্যাঁ, বিগ ব্যাং সৃষ্টিতত্ত্ব সত্য, এটি একটি সত্য গল্প বলছে মহাবিশ্ব সম্পর্কে। 

 

এরপর আরও অনেক প্রমাণ এসেছে বিগ ব্যাং এর সমর্থনে। তবে আজ পর্যন্ত হাবলের প্রমাণ এবং Cosmic background Radiation বিগ ব্যাং কসমোলজিকে সমর্থন করার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ। এই যে এতক্ষণ যে গল্পটি বললাম এরকম উধাহরন আমরা বার বার দেখবো বিজ্ঞানের ইতিহাসে। কেউ বাস্তবতা সম্পর্কে একটি নতুন দাবি নিয়ে আসে, যা যুক্তি ভিত্তিক এবং প্রমাণের ভিত্তিতে। কিন্তু যথেষ্ট প্রমাণ নেই। তাই লোকেরা interesting হিসাবে treat করে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে নেয় না। তারপর, ধীরে ধীরে, নতুন প্রমাণ উপস্থিত হয়। হঠাৎ সবাই ভাবে "ওহ হ্যাঁ, আমার মনে হয় ঘটনাগুলি সত্যই এভাবে ঘটেছিল" এবং তারপরে তাদের দাবি হয়ে ওঠে নতুন orthodoxy

 

এখন আমি চাই আপনি এই গল্পটি যা আমরা এতক্ষণ ধরে বলছি তা নিয়ে একটু ভাবুন। এটা সত্যি আশ্চর্যজনক। আমরা মানুষ, তথ্য ভাগ করে বহু প্রজন্ম ধরে, ধীরে ধীরে নির্মাণ করেছি একটি ভাল, শক্তিশালী, প্রমাণ-ভিত্তিক গল্প।

যা ১০০ বছর আগের নয়। 10,000 বছর আগের নয়, ১৩৮০ কোটি বছর আগের ঠিক সেই মুহূর্তের যখন আমাদের এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল।  জানি না আপনার কি মনে হচ্ছে কিন্তু আমার কাছে সত্যি এটা Mind- Blowing.

ওকে চলুন আজকের পর্বের একটা সারসংক্ষেপ টানা যাক। আমাদের প্রথম threshold বিগ ব্যাং, যা ঘটেছিল প্রায় 13. বিলিয়ন বছর আগে যা তৈরি করলো আমাদের পুরো বিশ্বজগতকে। আমরা বেশি কিছু জানি না কোন উপাদান বা কোন গোল্ডিলোকসের শর্ত এটি সম্ভব করেছে। কারণ আমাদের কাছে খুব বেশি প্রমাণ নেই।

উদাহরণস্বরূপ, কি সম্ভব করেছে বিগ ব্যাং হতে?

আমরা জানি না।

বিগ ব্যাং কেন হল?

আমরা কেবল অনুমান করতে পারি।

বিগ ব্যাং এর আগে কি স্থান এবং সময় ছিল?

না, তবে যদি থেকেও থাকে তা আমরা জানি না।

আমরা যা জানি তা ' বিগ ব্যাং সরবরাহ করেছে আমাদের চারপাশের সমস্ত কিছুর জন্য কাঁচামাল। বিগ ব্যাং এর পরে Space আসলো যা দ্রুত প্রসারিত হয়েছিল এবং আসলো সময়। সেখানে আরও ছিল পদার্থ এবং শক্তি। প্রথমে, ইউনিভার্স এত গরম ছিল যে আপনি পদার্থ এবং শক্তির মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন না। তবে বিগ ব্যাংয়ের পরে এক সেকেন্ডের এক বিলিয়নের ভগ্নাংশের মধ্যে পদার্থ এবং শক্তি পৃথক হয়ে গেল। তারপরে শক্তি বিভিন্ন রূপ ধারণ করলো। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এবং electromagnetism বাংলায় বৈদ্যুতিক চৌম্বকীয়তা। এবং পদার্থ রূপ নিলো ইলেকট্রন এবং কোয়ার্ক এর। এবং ধ্রুত কোয়ার্কগুলি প্রোটন এবং নিউট্রন গঠনের জন্য সংযুক্ত হয়ে গেল। এটা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? কারণ nothing পরিণত হল something এ। এবং এই something বহন করে একটি আকর্ষণীয় ইউনিভার্স তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু এমনকি আপনাকে এবং আমাকেও। থার্মোডিনামিক্সের প্রথম Law হচ্ছে পদার্থ এবং শক্তি তৈরি বা ধ্বংস করা যায় না। আমাদের এখন যা আছে, তখন ছিল। এখন আপনার দেহ যেসব পদার্থ দিয়ে তৈরি তা তৈরি ১৩. বিলিয়ন বছর আগে। এর কেবল গঠন পরিবর্তিত হয়েছে।

আজ এই পর্যন্তই আগামী পর্বে আমরা জানবো কীভাবে আমাদের মহাবিশ্ব আরও জটিল জিনিস নির্মাণ শুরু করে।

 
কোর্সের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুন এখানে
 
আমরা বিশ্বাস করি যে উচ্চমানের শিক্ষাগত ভিডিও সবার বিনামূল্যে পাওয়া উচিত।
Follow us in
Contact us: timekom.bd@gmail.com

Copyright Protected.
Time Kom is a Subsidiary of Indie Spirit Company.
Contact Indie Spirit
spiritofindie@gmail.com

#timekom​ #bigbang​ #বিগব্যাং

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ