প্রানের বিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচন
বিবর্তন তত্ত্ব বা Evolution Theory সম্পর্কে কথা বলার আগে প্রথমেই বিবর্তন বলতে আমরা কি বোঝাতে চাই তা পরিষ্কার করা দরকার। বিবর্তন সিমপ্লি বোঝায় যে জিন distribution সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়। জীন কি? বংশানুগতির অন্যতম নিয়ন্ত্রক উপাদান, যা ক্রোমোসোমের ভেতর থাকে এবং সকল প্রাণের কোনও নির্দিষ্ট বংশানুক্রমিক বৈশিষ্ট্যকে নিয়ন্ত্রণ করে। যা অবিসংবাদিত সত্য যা আমরা প্রকৃতিতে সর্বদা দেখে আসছি। কিন্তু বিবর্তন তত্ত্ব হল অনেক বড় ধারণার সমষ্টি যেখানে আছে embryology, planetology, botany, zoology, biochemistry, anatomy and geophysics সহ আরও অনেক। এবং বিবর্তন এদের প্রচুর পর্যবেক্ষণের ব্যাখ্যা দেয়। এসব শাখার মুল ভিত্তিই হচ্ছে বিবর্তন তত্ত্ব।
এই কারণেই যারা বলে যে তারা বুঝতে পারে না কিভাবে সমস্ত প্রাণী বিবর্তনের মাধ্যমে নতুন কিছু হতে পারে তারা আসলে বুঝেই না যে বিবর্তন কীভাবে কাজ করে।
কিন্তু Evolution তো Just a theory?
ধরেন আপনি একজনকে বললেন আমাদের শরীর Cell দিয়ে তৈরি সেটা শুনে সেই ব্যক্তি বলল
"না!! আমার শরীর প্রিজন Cell না। আমার শরীরের ভেতর কোন কয়েদী নেই, শরীরের বাহিরে কোন কারারক্ষী নেই।"
ভাই এই Cell আর Prison cell এক না। দুইটা শব্দই হচ্ছে Cell, কিন্তু এই দুই Cell একি জিনিস না।
ঠিক তেমনি বিজ্ঞানের Theory আর আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাবহার করা শব্দ এক না। বিজ্ঞানে এরকম আরও অনেক Theory আছে। এই যেমন -
আপনার শরীর কোষ দিয়ে তৈরি, এটা theory
জীবাণু আপনার শরীরকে অসুস্থ করে দেয়, এটা theory
পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরে, এটা theory
প্লেট টেকটনিক্স, Theory, Gravity theory.
হ্যাঁ মাধ্যাকর্ষণও Theory, আপনি নিশ্চয়ই এখন ১০ তালা থেকে লাফ দিবেন না কারণ Gravity is just a theory?
প্রমাণ পেলে Theory Law হয়!!!
ওকে, উদাহরণস্বরূপ মাধ্যাকর্ষণের সূত্র হচ্ছে
F equals G times m1 times m2, divided by D square
আমি এখানে একটা নাম্বার বসিয়ে দুটি বস্তুর মধ্যে মহাকর্ষীয় টান বের করতে পারি যা প্রতিবার কাজ করবে। কিন্তু মহাকর্ষের তত্ত্বটি ব্যাখ্যা করছে কেন এমনটি হচ্ছে। কেন এক বস্তু আরেক বস্তুকে টানছে। কেন পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে, কেন আমরা পৃথিবী থেকে ছিটকে পরছি না।
ওকে অনেকটা এভাবেও ভাবতে পারেন এই যেমন Dhaka University এর School of Business এর Under এ অনেক গুলো সাবজেক্ট পড়ানো হয় এই যেমন Mangement, Marketing, Finance ইত্যাদি। এগুলো সবই এই School of business এর অংশ। এইখানে যা পড়ানো হয় তা নিশ্চয়ই চারুকলা অনুষদে পড়ানো হয় না। ঠিক তেমনি বিবর্তন তত্ত্ব তে অনেক গুলো সাবজেক্ট আছে এবং তাঁরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের নিয়মে চলছে। School of business যেমন কোন সাবজেক্ট না বা কোনদিন সাবজেক্ট হবে না, তেমনি Theory সবসময় Theory ই থাকবে। A scientific theory. আর প্রমাণের কথা বলছেন?
বিবর্তন বিজ্ঞানের সবচেয়ে পরীক্ষিত, সর্বাধিক ব্যবহৃত এবং ব্যাপকভাবে স্বীকৃত তত্ত্বগুলির মধ্যে একটি। প্রায় ৯৭% বিজ্ঞানী এটিকে ফ্যাক্ট হিসাবে গ্রহণ করেছে। এর আছে টনকে টন ফসিল Evidence. যা দেখায় বিলুপ্ত প্রজাতির সাথে আমাদের মিল, এবং আমাদের আজকের চারপাশের প্রাণীদের সাথে বংশগত ম্যাপ তৈরি করতে সাহায্য করে।
ডিএনএ সিকোয়েন্সিং, ডিএনএ সিকোয়েন্সিং আমাদেরকে বংশগতি সম্পর্কে আরও তথ্য দেয়, এবং আপনি দুটি প্রাণীর কাছে থাকা ডিএনএ পরিমাপ করে বলতে পারেন যে তারা কতটা কাছের প্রজাতি এবং কতো আগে তারা একি পূর্বপুরুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। রেডিও-মেট্রিক ডেটিং আমাদের বিভিন্ন জীবাশ্মের তারিখ নির্ধারণ করতে সাহায্য করে, আর আমাদের পূর্বপুরুষদের লাইন ম্যাপ করতে সাহায্য করে। তারপরে একটি অবিসংবাদিত সত্য যে বিলুপ্ত প্রজাতিগুলি যেই শিলা স্তরগুলিতে পাওয়ার কথা সেই খানেই পান। আপনি নিশ্চয়ই ১ বিলিয়ন বছর আগের কোন শিলা স্তরে মানুষের কঙ্কাল খুঁজে পাবেন না। এবং যতই পিছনে যাবেন ততোই সিম্পল লাইফ ফর্ম পাবেন।
কাছাকাছি সম্পর্কিত প্রজাতি প্রায়ই ভৌগলিকভাবে একে অপরের কাছাকাছি পাওয়া যায়। আপনি নিশ্চয়ই সুন্দরবনে সিংহ পাবেন না, না পাবেন জিরাফ।
আর সবচেয়ে বড় কথা আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের চোখের সামনেই বিবর্তন ঘটতে দেখতে পাচ্ছি, এই যেমন নতুন প্রজাতির আবিষ্কার যা সম্প্রতি একটি ভিন্ন পরিবেশে স্থানান্তরিত হয়েছিলো, বা নতুন সুপার বাগ যা ব্যাকটেরিয়া থেকে বিকাশ লাভ করেছে। বা সারা বিশ্বের প্রাণী জনসংখ্যার মধ্যে প্রতিনিয়ত জিন বণ্টনে পরিবর্তন।
তো চলুন এখন মুল অংশে আসা যাক।
মৌলিক কোষগুলিতে জৈব অণুগুলির আবির্ভাবের পর থেকে জীবন কীভাবে পরিবর্তিত এবং বৈচিত্র্যময় হয়েছে তা অন্বেষণ করা যাক। এই প্রক্রিয়াটি দেখার একটি উপায় হল ছয়টি মিনি-থ্রেশহোল্ডের মাধ্যমে। থ্রেশহোল্ড বলতে কি বুঝায় তা আমরা জানি। আপনি নিজেও প্রতিটি মিনি-থ্রেশহোল্ড বিবেচনা করুন। এটা কি নতুন এবং ভিন্ন কিছু চিহ্নিত করে, এবং যদি তাই হয়, কেন?
আমাদের প্রথম মিনি-থ্রেশহোল্ড হল সালোকসংশ্লেষণ। প্রথম প্রোক্যারিওটগুলি সমুদ্রের গভীরে বিকশিত হয়েছিল বিশাল ভেন্টে যা তাদের রাসায়নিক এবং তাপ শক্তি সরবরাহ করেছিল। প্রায় 3.5 বিলিয়ন বছর আগে কিছু কোষ সমুদ্রের পৃষ্ঠে স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং সূর্য থেকে প্রচুর পরিমাণে শক্তি ব্যবহার করার জন্য বিবর্তিত হয়েছিল। এটি করার জন্য তারা যে প্রক্রিয়াটি তৈরি করেছিল তাকে সালোকসংশ্লেষণ বলে।
এটি শক্তির ব্যাবহারকে অন্য লেভেলে নিয়ে গেলো এবং জীবনকে আরও অনেক জায়গায় ছড়িয়ে দিতে সক্ষম করেছিল এবং যেহেতু অক্সিজেন সালোকসংশ্লেষণের উপজাত হিসাবে তৈরি হয়েছিল, লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বিপুল সংখ্যক সালোক-সংশ্লেষণকারী প্রোক্যারিওট আমাদের বায়ুমণ্ডলে আমূল পরিবর্তন এনে দিলো। কার্বন ডাই অক্সাইড সমৃদ্ধ থেকে হয়ে গেলো অক্সিজেন সমৃদ্ধ। অক্সিজেন অনেক প্রজাতির জন্য বিষাক্ত ছিল তাই তারা মারা গিয়েছিল, কিন্তু নতুন প্রজাতির আবির্ভাব হয়েছে যা অক্সিজেনকে একটি আশ্চর্যজনক রাসায়নিক শক্তি হিসাবে ব্যবহার করতে পারে।
দ্বিতীয় মিনি-থ্রেশহোল্ড হল প্রায় 2.5 বিলিয়ন বছর আগে ইউক্যারিওটসের আবির্ভাব। আমি, আপনি, আপনার পোষা প্রাণী, আজকে খাওয়া মাংস, আমরা সবাই এসেছি ইউক্যারিওটস থেকে।
ইউক্যারিওটস প্রোক্যারিওটস থেকে আরও জটিল কোষ যাদের ডিএনএ লক আপ করা নিউক্লিয়াস নামক একটি বিশেষ অংশে, যা গুরুত্বপূর্ণ জেনেটিক তথ্য রক্ষা ও সংরক্ষণ করতে সহায়তা করে। ইউক্যারিওটে অর্গানেল নামক ক্ষুদ্র অঙ্গও থাকে। আপনার শরীরের অঙ্গগুলির মতো, তারা বিশেষ কর্ম সম্পাদন করে যেমন সালোকসংশ্লেষণ বা অক্সিজেন প্রক্রিয়াকরণ। এর মানে হল যে ইউক্যারিওটগুলি পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান অক্সিজেন-সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডলে উন্নতি করতে পারে যখন অনেক প্রোক্যারিওট মারা যায়। এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিকাশ কারণ আমরা সম্পূর্ণরূপে ইউক্যারিওটিক কোষ দিয়ে তৈরি।
প্রায় 1.5 বিলিয়ন বছর আগে ইউক্যারিওটস লিঙ্গ আবিষ্কার করেছিল। এর আগ পর্যন্ত, এককোষী জীব দুই ভাগে বিভক্ত বা ক্লোন হয়ে যেতো, ডিএনএ বিনিময় এবং রোমান্স করার জন্য কোনও অংশীদার খোঁজার প্রয়োজন ছিল না। যৌনভাবে প্রজননকারী ইউক্যারিওটস সম্ভবত cannibalism এর মাধ্যমে এই ক্ষমতাগুলি অর্জন করেছিল - এরা একে অপরকে খেয়ে ফেলত, এবং Accidentally কিছু ডিএনএর বিনিময় হয়ে যায়। একজন অংশীদার থাকার অর্থ হল জিনের দুটি সেট থাকা এবং জেনেটিক বৈচিত্র্যের বিস্তৃত পরিসর থাকা যা থেকে বিবর্তন বাছাই করতে পারে এবং বেছে নিতে পারে।
প্রায় 1 বিলিয়ন বছর আগে, আমরা তিন নম্বর মিনি-থ্রেশহোল্ড অতিক্রম করেছি, প্রথম বহু-কোষীয় জীবের প্রবর্তন। একইভাবে বিশেষায়িত অর্গানেলগুলি আরও জটিল ইউক্যারিওট তৈরি করতে একত্রিত হয়েছিল। এই জীবগুলিতে কোটি কোটি কোষ থাকতে পারে, যার প্রত্যেকটির আলাদা ফাংশন রয়েছে, কিন্তু সবাই একই ডিএনএ ভাগ করে, তাই তারা একসাথে কাজ করে। বিশেষ কোষ এবং সহযোগিতার নেটওয়ার্কের সাহায্যে, বহুকোষী জীব সম্পূর্ণ নতুন উপায়ে পরিবেশের পরিবর্তনে সাড়া দিতে পারে, আরও একটি জীবনের বেঁচে থাকার মূল বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটে যাকে আমরা বলি হোমিওস্ট্যাসিস।
Metabolism, homeostasis, reproduction এবং adaptation যেন একে অপরকে শক্তিশালী করে তোলে। মেটাবলিজম প্রয়োজনীয় শক্তি এবং উপকরণ সরবরাহ করে প্রতিনিয়ত ক্ষুদ্র সামঞ্জস্য করতে হোমিওস্ট্যাসিসকে এবং প্রজননের জন্য । adaptation যা করে তা হল পরিবেশের বড় পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রজাতিগুলিকেও বৃহৎ adaptation করার সুযোগ দেয়, এবং এটিই হচ্ছে বিবর্তনের চাবিকাঠি।
হোমিওস্ট্যাসিস এবং adaptation একসাথে ব্যাখ্যা করে কেন জীবন সর্বদা উদ্দেশ্য পূর্ণ বলে মনে হয় কারণ এটি যেন পরিবেশের বিরুদ্ধে কোনোভাবে পিছনে ঠেলে দিচ্ছে। এখন, আমরা যতদূর জানি, শুধুমাত্র জীবই এই চারটি গুণের সমন্বয় করতে সক্ষম।
স্বাভাবিক ভাবেই এরপরের প্রশ্ন টা আসে কি তাদের একসাথে ধরে রাখে, যা তাদের লিঙ্ক? উত্তর হল বিস্ময়কর অণু যাকে আমরা DNA বলি।
আপনি ইতিমধ্যেই দেখেছেন যে চারটি গুণের মধ্যেই ডিএনএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এটি কিভাবে কাজ করে এবং কিভাবে এটি গঠিত হয়? ওকে, ডিএনএ সম্পর্কে চিন্তা করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল এটিকে মনে করতে পারেন আপনার কম্পিউটারের সফ্টওয়্যার। ডিএনএ-তে প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী রয়েছে যা কোষে যায় এবং কোষকে চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করে। এবং এটিতে পুনরুৎপাদনের জন্য ডিএনএ এবং পুরো কোষের পুনরুৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যও রয়েছে।
কিভাবে এটি নির্মাণ করা হয় এবং কিভাবে এটি কাজ করে?
ওয়েল, ডিএনএ হল একটি বিশাল অণু যার মধ্যে কোটি কোটি পরমাণু রয়েছে। তারা দুটি বিশাল চেইন দাড়া সংগঠিত। প্রতিটি চেইনে বাহু রয়েছে এবং সেই বাহুগুলি একটি সিঁড়ির দণ্ডের মতো গঠন করে। সুতরাং পুরো জিনিসটি দেখতে একটি মইয়ের মতো। তারপরে এটি নিজের উপর মোচড় দেয় একটি ডাবল হেলিক্স তৈরি করতে এবং এটি দৃঢ়ভাবে ভাঁজ হয় কোষের কেন্দ্রে।
তো এটি এইভাবে কাজ করে: তথ্যগুলো মইয়ের বাহুতে একটি বিশেষ চার-অক্ষরের কোডে রয়েছে। কোষের ভিতরের অণুগুলি ডিএনএর কাছে যায়, গুরুত্বপূর্ণ অংশটি আন-জিপ করে, কোডটি পড়ে, এবং তারপর কোষে ফিরে যায় এবং তৈরি করে প্রয়োজনীয় প্রোটিনগুলিকে যা প্রয়োজন ডিএনএর কাজ করার জন্য। ডিএনএ নিজেও নিজেকে কপি করতে পারে।
তো এটি কিভাবে কাজ করে? মইটির দুটি অংশ আলাদা হয়ে রাসায়নিকে ডুব দেয় এবং একে অন্নের প্রতিরূপ খুঁজতে থাকে। এবং অবশেষে মিলিত হয়ে দুটি অভিন্ন ডিএনএ তৈরি করে। আর এভাবেই ডিএনএ নিজেকে কপি করে এবং এটিই সমস্ত জীবন্ত প্রাণীর প্রজননের ভিত্তি।
ডিএনএ replication একটি আশ্চর্যজনক, চমকপ্রদ প্রক্রিয়া যা জীবনকে নিজের অনুলিপি তৈরি করতে এবং তার নিজস্ব জটিলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি আশ্চর্যজনকভাবে নির্ভুলতার সাথে একটি জীবন্ত প্রাণীর অনুলিপি করে। কিন্তু এই অনবদ্য অনুলিপি প্রক্রিয়া মাঝে মাঝে হতে পারে... কিছুটা, ত্রুটিপূর্ণ। প্রতি বিলিয়ন কপিতে একবার ত্রুটি থাকেই। এই ত্রুটিগুলি রেজাল্ট হচ্ছে সামান্য মিউটেশন। এগুলোর কোন প্রভাব থাকতে পারে না, এগুলি খুব ভালো হতে পারে, বা খুব খারাপ হতে পারে। উপকারী হলে, এটি একটি জীবকে আরও সফল হতে দেয় এবং তার পরবর্তী জেনারেশনে জিনগুলি পাস করে যায়। যদি এতটা কার্যকর না হয়, জিনিসগুলি খারাপভাবে যায়, এবং জিনটি পাস হয় না। লক্ষ লক্ষ বছরের স্কেলে, এই অনুলিপি ত্রুটিগুলি বিবর্তনের ইঞ্জিন এবং নতুন প্রজাতির উৎস।
জীবন কীভাবে কাজ করে তা বোঝার আধুনিক পদ্ধতি হচ্ছে ডিএনএ। কিন্তু 19 শতকেও, ইংরেজ প্রকৃতিবিদ চার্লস ডারউইন কীভাবে এই পরিবর্তনগুলি ঘটে, কীভাবে জীবন বিকশিত হয় সে সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা তৈরি করেছিলেন। ডারউইনের সময়ের আগে, বেশিরভাগ প্রকৃতিবিদ বিশ্বাস করতেন যে প্রজাতিগুলো স্থির। সময়ের সাথে সাথে তারা বদলায় না। কিন্তু কেউ কেউ জীবাশ্ম স্টাডি করেছিলেন এবং মনে হয়েছিল... যে প্রজাতি আসলে সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে। প্রশ্ন ছিল কিভাবে। এই প্রশ্নটিই ডারউইন মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছিলেন। ডারউইন জানতেন যে প্রাণীর প্রজননকারীরা আসলে মাত্র কয়েক প্রজন্মের মধ্যে প্রজাতির পরিবর্তন করতে পারে। তারা এটি করতো কোন প্রাণী বংশবৃদ্ধি করবে এবং কোনটি করবে না তা বেছে নেওয়ার মাধ্যমে।
সুতরাং আপনি যদি মোটা ভেড়ার বংশবৃদ্ধি করতে চান, আপনি মোটা ভেড়াকে প্রজনন করতে দিবেন এবং আপনি পাতলা ভেড়াকে প্রজনন করতে দিবেন না। এবং এটি করার মাধ্যমে, বেশ দ্রুত, আপনি সত্যিই একটি প্রাণী বা একটি প্রজাতি পরিবর্তন করতে পারেন। এখন, ডারউইন যা লক্ষ্য করেছেন তা হল যে প্রকৃতিতেই তো এরকম কিছু ঘটতে পারে। এটা প্রায় যেন প্রকৃতি নিজেই নির্বাচন করে যে কোন প্রাণী বংশবৃদ্ধি করবে এবং কোনটি করবে না।
উদাহরণস্বরূপ, ঈগল নিয়ে ভাবা যাক। চিন্তা করুন সত্যিই ভাল দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন একটি ঈগলের কথা। এটি প্রচুর খাদ্য পাবে, এবং প্রজননের মাধ্যমে আরও তার মতো বাচ্চা দিতে পারবে। আরেকটি ঈগলের কথা ভাবুন যার দৃষ্টিশক্তি খুব কম। এটি খাদ্যের চাহিদা মেটাতে অনেক কষ্ট করবে এবং এর পুনরুৎপাদনের সম্ভাবনা খুবি কম। তাহলে এর অর্থ হল যে সত্যিই ভাল দৃষ্টি-শক্তিসম্পন্ন ঈগলের আরও অনেক সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে, এর গুণাবলী আরও বেশি সাধারণ হয়ে উঠবে এবং সেই নির্দিষ্ট দলটি পরিবর্তিত হয়ে ভাল দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন ঈগলের দল হয়ে উঠবে। এখন ভাল দৃষ্টিশক্তি, হাজার হাজার বা লক্ষাধিক প্রজন্মের মধ্যে বহুবার পুনরাবৃত্তি হবে, এটি ডারউইন বুঝতে পেরেছিলেন, এটি এমন প্রক্রিয়া যা প্রাণীদের পরিবর্তন করে। যেন প্রকৃতি নির্বাচন করছে কোন প্রাণীরা বংশবৃদ্ধি করবে।
তিনি এই প্রক্রিয়াটিকে Natural Selection বাংলায় প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং তিনি আবিষ্কার করেছিলেন যে এটি জীবনের বিবর্তনের মূল চাবিকাঠি।
বিবর্তন দেখা যাচ্ছে যে একটি চলমান প্রক্রিয়া কারণ পরিবেশ পরিবর্তন হতে থাকে তাই প্রজাতি পরিবর্তন হতে থাকে। এর কোনও শেষ নেই। যখন ডারউইন প্রথম এই তত্ত্বটি নিয়ে এসেছিলেন, তখন 19 শতকের ব্রিটেনে এটি যথেষ্ট সন্দেহের সাথে দেখা হয়েছিল। তিনি আসলে প্রচুর প্রমাণ নিয়ে এসেছেন, কিন্তু যথেষ্ট নয়, এবং কিছু জিনিস তিনি সত্যিই বুঝতে পারেননি। উদাহরণস্বরূপ, ডিএনএর ভূমিকা সম্পর্কে তার কোনও ধারণা ছিল না। কিন্তু তারপর থেকে, তার তত্ত্বকে অনেক বেশি শক্তিশালী করতে অনেক নতুন প্রমাণ এসেছে, আজ অবধি, এটি আধুনিক জীববিজ্ঞানের সবচেয়ে প্রভাবশালী তত্ত্ব।
আমি চাই আপনি এই প্রমাণগুলো স্টাডি করুণ। আমাদের প্রতিটি ভিডিওর মুল লক্ষই হচ্ছে আপনাকে সঠিক তথ্য জানানো। এবং আপনিও সত্য মিথ্যা যাচাই করুণ। প্রথমে, ডারউইনের কাছে কি প্রমাণ ছিল সেগুলো দেখুন, এবং এটি করার সর্বোত্তম উপায় হল তার বিস্ময়কর বই, দ্য অরিজিন অফ স্পিসিস পড়া। এটা খুবী রিডেবল একটি ক্লাসিক বই, সত্যিই পড়ার মতো। এবং তারপরে কি কি প্রমাণ এসেছে টা দেখুন। আরেকটি বিষয় বলে রাখি, বইটি পড়তে গেলে তার প্রথম সংস্করণটি পড়বেন। কারণ পরবর্তী সংস্করণগুলিতে ডারউইন কিছু সমালোচকের উত্তরে একগুচ্ছ সংশোধন করেছিলেন, কিন্তু তিনি আসলে প্রথমবারই সব ঠিক ঠাক লিখেছিলেন। এই যেমন ডারউইনের একটি বিখ্যাত উক্তি হিসাবে ধরা হয় “Survival of the Fittest” কিন্তু এটা আসলে Herbert Spencer এর উক্তি এবং তিনি এই উক্তি দিয়ে সমাজের অবস্থার সাথে প্রকৃতির অবস্থা মিলাতে চেয়েছিলেন।
So, মনে আছে সেই প্রোক্যারিওটস এবং ইউক্যারিওটদের কথা? ধীরে ধীরে, কিছু এক কোষী ইউক্যারিওটস একটি জিনিসে একসাথে কাজ করতে শুরু করে যাকে বলে সিম্বিওসিস, যেখানে একটি কোষ কিছু করে বিনিময়ে অন্য একটি কোষ অন্য কিছু করে, এইভাবে উভয়ই বেঁচে থাকে। কিছু ইউক্যারিওট এতই সমবায়ী হয়ে ওঠে যে একটি কোষ অন্যটিকে ছাড়া বাঁচতে পারে না। দুর্যোগের সময় সিম্বিওসিস বিশেষভাবে কার্যকর ছিল।
মস্তিষ্কের বিকাশ মিনি-থ্রেশহোল্ড চার। বহুকোষী জীবের অভ্যন্তরে চলমান সমস্ত ক্রিয়াকলাপকে সমন্বয় করার জন্য একটি উপায়ের প্রয়োজন ছিল এবং এটি বিশেষ স্নায়ু কোষের কাজ হয়ে ওঠে। কিছু জীবের মধ্যে এই কোষগুলি প্রথম মস্তিষ্ক গঠনের জন্য মাথার দিকে এবং মেরুদণ্ডের নীচে ক্লাস্টার হতে শুরু করে। মস্তিষ্ক সহ জীবগুলি আরও অনেক তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে, এবং তারা আরও জটিল উপায়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, যা thinking এমনকি consciousness এর মতো সমৃদ্ধ এবং আরও পরিশীলিত কার্যকলাপকে সক্ষম করে।
প্রথম প্রাণের শুরু হওয়ার প্রায় ৩ বিলিয়ন বছর পার হওয়ার পর সমুদ্র ভরে উঠে জটিল গাছপালা এবং প্রাণী দাড়া।
শরীরের সমস্ত মৌলিক ধরন যা এখনও বিদ্যমান…মাথা, মুখ, চোখ, পাখনা যা বিবর্তিত হয়েছে অঙ্গে, চোয়াল এবং দাঁত বিকশিত হয়েছে এই সময়ে।
পাঁচ নম্বর মিনি-থ্রেশহোল্ড হল যখন জীবন সমুদ্র থেকে স্থলে চলে যায়। প্রায় 475 মিলিয়ন বছর আগে, গাছপালা এবং ছত্রাক থেকে শুরু করে কিছু বহুকোষী জীব স্থলের জন্য মহাসাগর ছেড়ে যায়। একটি দুর্দান্ত উদ্দীপনা ছিল, এই নতুন পরিবেশ জীবের জন্য বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে পেতে নতুন সুযোগে সমৃদ্ধ ছিল। এটি একটি চ্যালেঞ্জ ছিল, যদিও, এই জীবগুলিকে শুকিয়ে যাওয়া এড়াতে বিশেষ স্কিন তৈরি করতে হয়েছিল, পানি ছাড়া শ্বাস নেওয়ার বিশেষ উপায় এবং প্রজননের নতুন উপায় তৈরি করতে হয়েছিল।
স্তন্যপায়ী প্রাণী, আপনার এবং আমার অগ্রদূতের শুরু হচ্ছে, ছয় নম্বর মিনি-থ্রেশহোল্ড। ভূমিতে বসবাসকারী প্রথম প্রাণীটি একটি আধুনিক lungfish এর মতো হতে পারে, যে মাছের ফুসফুস আর ফুলকো দুইই আছে। তবে অন্যান্য স্থলজ প্রাণীরা শীঘ্রই বিবর্তিত হয়েছে, যেমন amphibians বাংলায় উভচর প্রাণী।
প্রথমে তারা প্রজনন করতে নোনা জলের সমুদ্রে ফিরে যেতে বাধ্য হত। কিন্তু তারপরে তারা তাদের সাথে সমুদ্রের কিছুটা আনার উপায় তৈরি করেছিল। বলুন তো সেটা কি?
সেটা হচ্ছে ডিম। ডিম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ Development. এটি প্রাণীদেরকে স্থায়ীভাবে স্থলে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছে।
ডিমের একটি সুন্দর শক্ত খোসা থাকে যা একটি ছোট জায়গায় নোনা জল ধরে রাখে। এবং এমনকি আজও স্তন্যপায়ী প্রাণীদের গর্ভে যখন বাচ্চা থাকে এবং যে অ্যামনিয়োটিক পানি তে ভ্রূণ বেঁচে থাকে তাকেও বলতে পারেন একটি ছোট সমুদ্র।
এরপর এলো কুমির বা ডাইনোসরের মতো সরীসৃপ প্রাণী। এটি বড় চামড়ার মতো ডিম দিতো যা পানি থেকে দূরে বেঁচে থাকতে পারে।
তারপরে প্রায় 250 মিলিয়ন বছর আগে, প্রথম স্তন্যপায়ী প্রাণীরা পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিল সরীসৃপদের একটি শাখা থেকে। স্তন্যপায়ী প্রাণীরা উষ্ণ রক্তযুক্ত, তারা লোমশ, এবং তারা ডিম দেয় না তবে এখানেও কিছু ব্যতিক্রম আছে যেমন স্তন্যপায়ী প্লাটিপাস ডিম দেয়। তো আপনি এবং আমি স্তন্যপায়ী।
আজ অনেক কিছু কাভার করে ফেললাম। প্রথমে বিবর্তন সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা নিয়ে জানলাম
এরপর বিবর্তনের এই বিশাল ইতিহাসকে ৬ টি ভাগে ভাগ করে একে একে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ থ্রেশহল্ড সম্পর্কে জানলাম,
জানলাম ডিএনএ সম্পর্কে এবং ডারউইন সম্পর্কে এবং বিবর্তন তত্ত্ব সম্পর্কে।
কিন্তু এরপরও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলাপ করা হয়নি আর তা হচ্ছে এই পুরো কার্যকলাপে আমাদের পৃথিবীর ভূমিকা। আগামী পর্বে আমরা জানবো সেই বিষয় সম্পর্কে।













মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন